OrdinaryITPostAd

Contentwriting Vs Copywriting! কোনটি আপনার ক্যারিয়ার এর জন্য বাছাই করবেন?


কন্টেন্ট রাইটিং বনাম কপিরাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং না  কপিরাইটিং, কোনটি আপনার ক্যারিয়ার এর জন্য বাছাই করবেন ?

কন্টেন্ট রাইটিং ও কপিরাইটিং দুইটিই বহুল পরিচিত। অনেকেই মনে করেন বিষয় দুটি একই। কিন্তু বিষয় দুটি একেবারে আলাদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়টি কেমন এবং কোনটি আমাদের ক্যারিয়ার এর জন্য ভালো ?  

কন্টেন্ট রাইটিং ও কপিরাইটিং বিষয় দুইটিই লিখে প্রকাশ করতে হয়। এরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বিষয় দুটির লিখার ধরন আলাদা। এখন কোনটা নিয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ার সাজাবেন এটি নিয়ে যদি দ্বিধা দ্বন্দে ভোগেন  তার সমাধান করার জন্য আমাদের আজকের পোস্ট। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা খুব উপকৃত হবেন । চলুন পোস্টটি পড়ে ফেলি ।

সূচিপত্র :

  v কন্টেন্ট রাইটিং কি ?

  v কপিরাইটিং কি ?

  v বিষয় দুটি লিখার ধরন কেমন ?

  v কোনটিতে কাজের কত গুলো সেক্টর রয়েছে ?

  v কোনটিতে কেমন সুবিধা ?

  v কন্টেন্ট রাইটাররা কোথায় কাজ করতে পারবেন ?

  v কন্টেন্ট রাইটাররা এর ক্যারিয়ার কেমন  হতে পারে ?

  v কোনটিকে আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিবেন ?

চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানানোর কৌশল গুলো জেনে নিন।


  কন্টেন্ট রাইটিং কি ?

এটি হলো মৌলিক ভাবে নিজের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে কোন বিষয় সম্পর্কে সকল তথ্য সাজিয়ে গুছিয়ে প্রকাশ করা যেন সেটি থেকে সকলে জ্ঞান আহরণ করতে পারে । এটি ডিজিটাল মারকেটিং এর একটি অংশ ।কন্টেন্ট এর প্রকারভেদ রয়েছে যথা -

 

·         লিখিত কন্টেন্ট

·         ছবি কন্টেন্ট

·         অডিও কন্টেন্ট

·         ভিডিও কন্টেন্ট


  আপনি এখন যে পোস্টটি পরছেন এটি হলো লিখিত কন্টেন্ট । ইন্টারনেট এ যতো পিক দেখেন সবই হল ছবি কন্টেন্ট । নেট এ যে অডিও গুলো শনেন এবং ভিডিও গুলো দেখেন তা হল অডিও ও ভিডিও কন্টেন্ট এর অংশ ।

     কপিরাইটিং কী ?

কপিরাইটিং বলতে একটি বৃহৎ বিষয়কে ছোট ও সহজ বোধ্য করে সকলের সামনে উপস্থাপন করা । যেমন বিভিন্ন পণ্যর বিজ্ঞাপন , যেখানে অনেক তথ্য থাকে কিন্তু সেগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে স্লগান আকারে সবার সামনে উপস্থাপন করে । পণ্যর বিজ্ঞাপন , বিভিন্ন অ্যাডভাটাইজ , ব্যানার , পোস্টার বিলবোর্ড এর লেখাগুলো লেখা হয় কপিরাইটিং এর মাধ্যমে।  এটির ৭ টি ভিন্নধর্মী টাইপস রয়েছে । যথা ;

·         ডিজিটাল কপিরাইটার

·         এক্সপ্লেইনার

·         টেকনিক্যাল কপিরাইটার

·         এস ই ও রাইটার

·         জার্নালিস্ট

·         কনভার্সন কপিরাইটার

·         ক্রিয়েটিভ কপিরাইটার

 আরো পড়ুনঃ অর্গানিকভাবে Instagram এর Follower বাড়ানোর উপায়!


        বিষয় দুটি লিখার ধরন কেমন ?

কন্টেন্ট রাইটিং লিখার ধরন হল এটি লিখার মধ্যে কোন সীমা বা গণ্ডি নেয়। একটি কন্টেন্ট পড়ে  কোন বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান আহরণ করা যায় । আবার সেই জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন  কঠিন কাজও সম্পন্ন করা যায় । অপর দিকে কপিরাইটিং এর মাধ্যমে কোন পণ্য সম্পর্কে সম্যক কিছু ধারনা পাওয়া যায় । অর্থাৎ একটি পণ্যে কী কী গুন আছে , কতোটা উপকারী , কী কাজে লাগে , কেমন ভাবে ব্যবহার করতে  হয় ইত্যাদি ।

 

    কোনটিতে কাজের কত গুলো সেক্টর রয়েছে ?

দুটির ই অনেক ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশী সাইট রয়েছে । যেমন ; Fiverr, upwork , linkedin , freelancer.com, guru.com তাছাড়াও বাংলাদেশী  সাইট  কাজ কি ডট কম , বিল্যান্সার ডট কম , ত্রুল্যান্সার ডট কম , স্বাধীন কাজ ডট কম ইত্যাদি । অপরদিকে

 

  কোনটিতে কেমন সুবিধা?

সত্যি বলতে কন্টেন্ট রাইটিং এ সুবিধা বেশী কেননা কোন  ক্লায়েন্ট  যদি আপনার সাথে কাজ করে ভালো সাপোর্ট বা ফিডব্যাক  পায় তাহলে সে আপনার সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করবে। তখন আপনাকে আর নতুন করে ক্লায়েন্ট  খুঁজতে হবে না । অপর দিকে কপিরাইটিং এর জন্য আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং যদি পোর্টফলিও না থাকে তাহলে আপনি কাজ পাবেন না । ধরুন একটি কোম্পানি আপনাকে একটি অ্যাড এর কপিরাইটিং করার জন্য বলল , এভাবে আপনি ৩ – ৪ টা অ্যাড করলেন ঐ কোম্পানির জন্য কিন্তু তারা তো আর মাসে মাসে অ্যাড বানাবেন না । এর ফলে আপনাকে আবারও নতুন ক্লায়েন্ট করে ক্লায়েন্ট খুঁজতে হবে ।

                                                                                                                                           

   কন্টেন্ট রাইটাররা কোথায় কাজ করতে পারবেন ?

কন্টেন্ট রাইটাররা অনেক সেক্টরে কাজ করতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল  কমার্শিয়াল ব্লগ , অনলাইন মার্কেট প্লেস , অনলাইন পোর্টাল , বিজ্ঞাপনী সংস্থা , ম্যাগাজিন , পত্রিকা ইত্যাদি । আবার খবরের চ্যানেল গুলো তাদের অনলাইন রিপোর্ট এর জন্য কন্টেন্ট রাইটারদের থেকে লিখে নেয় । যে কোন সংবাদ পত্র  থেকে ও এদের অনেক কাজ আসে। আবার ব্লগ লিখে ও অনলাইন মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে মোটা অংকের টাকা আয় করা যায় ।

 

ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং হল কন্টেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম । ব্লগিং করতে হলে আপনাকে প্রথমত একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে । এখানে আপনি ফ্রি তে  ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন । সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগ লিখে পোর্টফলিও সাজাবেন ।

 

মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

কন্টেন্ট রাইটিং করতে করতে যখন আপনি অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন তখন আপনি অনেক ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন ।তবে ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে । যেমন ; Fiverr, upwork , linkedin , freelancer.com, guru.com এই সকল মার্কেট প্লেসে কাজ করলে অনেক আয় করতে পারবেন । সেখানে একজন ফ্রীল্যান্সার প্রতি ঘণ্টায় ২০ – ৩০ ডলার আয় করে থাকে । এটি আমাদের মত সাধারণ মানুষের কল্পনার ও বাইরে।

তবে কিছু বাংলা সাইট ও আছে যেমন ; কাজ কি ডট কম , বিল্যান্সার ডট কম , ত্রুল্যান্সার ডট কম , স্বাধীন কাজ ডট কম ইত্যাদি ।এখানে কাজ করেও ভালো আয় করা যায় । 

আরো পড়ুনঃ As A Beginner যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করবেন।

  কন্টেন্ট রাইটাররা এর ক্যারিয়ার কেমন  হতে পারে ?

ক্যারিয়ার আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর নির্ভরশীল । কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে যে কোন পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালগুলোতে একজন রাইটার হিসিবে যোগ দিতে পারবেন । আবার কেউ কেউ সাব এডিটর অথবা সিনিয়র এডিটর রাইটার পদ পেয়ে থাকে । তবে এটি আপনার কাজের ওপর নির্ভরশীল । অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকলে চিফ এডিটর হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন । অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনার পোর্টফলিও দেখে অর্থাৎ আপনার পূর্বের কাজের ধরন দেখে যদি কোন ক্লায়েন্ট এর পছন্দ হয় তাহলে আপনি কোন বড় প্রতিষ্ঠান এ চাকরির সুযোগ পেতে পারেন ।  সেখানে হিউজ পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন । এটি আপনার ক্যারিয়ার কে সাফল্যমণ্ডিত করতে অনেক সাহায্য করবে ।

 কোনটিকে আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিবেন ?

এটি সম্পূর্ণ আপনার পারসোনাল বিষয় কারণ যেটিতে আপনি পারদর্শী সেটি নিয়েই কাজ করবেন । তবে আমাদের পরামর্শ মতে কন্টেন্ট রাইটিং এর ওপরে কাজ করা ভালো কেননা এখানে প্রচুর পরিমানে কাজ পাওয়া যায় যেটি আপনার ক্যারিয়ার এর জন্য মঙ্গলজনক হবে । অপরদিকে কপিরাইটার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনাকে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ হতে হবে । নতুবা আপনি কোন কাজ পাবেন না ।

 

আশা করি আমাদের আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন হবে । আবার আপনাদের বাছায়ের পালা যে কোনটি আপনি আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে সিলেক্ট করবেন ।আজকে অজানা অনেক তথ্য জেনেছেন বিশ্বাস করি এই পোস্টটি পড়ে আপনারা সকলেই উপকৃত হবেন । আজকের বিষয় সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন । আমরা সবসময় আপনাদের পাসে আছি । ধন্যবাদ!

 

 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ঢাকা ক্লিক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url