OrdinaryITPostAd

যে সাতটি প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই আপনাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিবে।


একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি সঠিক ইন্ডাস্ট্রি (Organization) বেছে নিতে হবে। কারণ সফলতার জন্য সঠিক ইন্ডাস্ট্রি (Organization) বেছে নেওয়া অনেক কঠিন। আপনি যদি শুরুতেই আপনার পথ ঠিকভাবে বেছে নিতে না পারেন তাহলে কোন ভাবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব না। 

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক ইন্ডাস্ট্রি(Organization) আছে যেগুলোতে আমরা খুব সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারি কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও এমন না যে আমরা সেগুলোতে শুরু করলে সফলতা (Success)  চলে আসবে।

এবং একজন ব্যবসায়ী হিসেবে অনেক সময় মনে করি যে আমরা যে কোন প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা যে কোন ব্যবসাতে খুব সহজেই সফলতা (Success) অর্জন করব। কিন্তু আমি সেটা মোটেও মনে করিনা কারণ অবশ্যই সফলতার জন্য আপনাকে কিছু বেস্ট ইন্ডাস্ট্রি বেছে নিতে হবে। 

তাই আমি এখানে আপনাদেরকে শেয়ার করতে চাই যে সাতটি ইন্ডাস্ট্রি (Organization) আপনাকে খুব সহজে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিবে। আমি আশা করি এটা আপনাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত হ্যাঁ আমি কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন বা কোন লটারি কথা বলছি না। আমি কিছু প্রমাণিত ইন্ডাস্ট্রির (Organization) কথা বলব যেগুলোতে কাজ করে আমাদের দেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা আয় করছেন। আর কথা বাড়াবো না সরাসরি চলে আসি মুল আলোচনায়।  

ফিনান্সিয়াল সার্ভিসঃ
 
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রচলিত কথা বা বয়স্করা বলে থাকেন যে টাকায় টাকা আনে। কথা সত্য আমি বলতে বুঝিয়েছি টাকাকে ম্যানেজমেন্ট করা। হ্যাঁ! আপনি বুঝতে ভুল না করলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে (Organization) আপনাকে খুব সহজেই বিলিনিয়র হয়ে যাবেন।
 
ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বলতে আমরা খুব সহজেই বুঝি ব্যাংক, বীমা, লোন এসোসিয়েটস,  ব্রোকার ও কিছু ফিনান্সিয়াল সার্ভিস যারা টাকা ম্যানেজমেন্ট মাধ্যমে ব্যবসা করেন। আমরা ভুলে গেলে চলবে না যে  টাকাতেই টাকা আসে। টাকাকে সঠিক পথে ইনভেস্ট এবং ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই উন্নতি করতে পারবেন। সুতরাং আমাদের অবশ্যই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও চিন্তা ভাবনা করে কিছু ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে সেগুলোতে ইনভেস্ট এর মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি করতে পারি।


টেকনোলজিঃ
 
আমরা যদি শুধু এটুকু চিন্তা করিনি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কততুকু টেকনোলজির উপরে নির্ভরশীল। আমাদের জীবন যাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে এসে দিয়েছে টেকনোলজি। টেকনোলজির ছোঁয়া আমাদের জীবনকে কতটা পরিবর্তন করে দিয়েছে তা হয়তো আমি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা টেকনোলজি বলতে গুগল-ফেসবুক এবং অ্যাপেল বুঝি। 

আমরা যদি ট্রেডিশনাল ইন্ডাস্ট্রিজ গুলোর কথা চিন্তা করি সেগুলো কিন্তু সব কিছু টেকনোলজি ধারায় চলে যেমন আমরা বলতে পারি আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ইন্ডাস্ট্রি হলো গার্মেন্টস। গার্মেন্টস আমাদের গার্মেন্টস শিল্প উন্নতির পেছনে কিন্তু টেকনোলজি সবচেয়ে বেশি অবদান। আমি যদি একটু লক্ষ্য করি আমাদের দেশের বেশিরভাগ গার্মেন্টস ব্যবসা হিজড়া টেকনোলজি কে পুঁজি করে ব্যবসা করছেন তারাই সফল হয়েছেন। 

তাছাড়া আমরা আরও লক্ষ করতে পারি আমাদের দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ ইন্ডাস্ট্রি হলো ওষুধ শিল্প। বেশ কিছুদিন আগে এত উন্নত বা ছিলনা সেটাও কিন্তু টেকনোলজি ছোঁয়াতে আজকে আমাদেরকে বৈদেশিক মুদ্রাসহ এনে দিচ্ছে। তাহলে আমরা যে দুইটা উদ্ধারণ থেকেই পেয়ে গেলাম আমরা যদি একটু ঠান্ডা মাথায় আমাদের চারপাশে খেয়াল করি তাহলে দেখা যাবে আমাদের আশেপাশের অনেক পুরনো ইন্ডাস্ট্রি আছে যেগুলোর টেকনোলজিক্যাল বিজনেস করে আমরা অল্প সময়ে উন্নতি করতে পারব।

হেলথকেয়ারঃ
 
আমাদের অন্যতম মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে একটি হল চিকিৎসা। আমরা হয়তো সচরাচরই শুনে থাকি যে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুতরাং বেশিরভাগ মানুষই বেশি দিন বাঁচার জন্য সুস্থ থাকতে চায় এবং সেই ক্ষেত্রে টাকা খরচ করতে চায় সুতরাং আমরা যদি এভাবে চিন্তা করি ফার্মাসিটিক্যাল ব্যবসা-বাণিজ্য বা হেলথকেয়ার রিলেটেড যেকোনো ধরনের সেবা প্রতিষ্ঠান আপনাকে খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করতে সাহায্য করবে।


রিয়েল এস্টেট ও কনস্ট্রাকশনঃ
 
আমেরিকার একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৮ বিলিয়ন এবং ২০৫০ সালের মধ্যে যা গিয়ে দাঁড়াবে ১০ বিলিয়ন। তাছাড়া আমার যদি বিশ্ব চিন্তা না করে শুধু আমাদের বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যা ২২ কোটি তে গিয়ে দাঁড়াবে। এই 22 কোটি মানুষের বসবাসের ঘুমানোর জায়গা জন্য তাদের বাসস্থান দরকার। সুতরাং আমরা যদি এটা চিন্তা করেও এই ব্যবসার দিকে ধাবিত হই। তাহলে খুব কম সময়ে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
 
কোন জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হলে শিক্ষিত করতে হবে। এটা আমরা সবাই জানি এবং আমাদের দেশেও কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একদম নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে আমরা খুব বেশি উন্নতি করতে পারব না।

সেজন্য আমাদের দরকার কর্মমুখী স্কিল ডেভেলপমেন্ট শিক্ষা। যা আমাদেরকে খুব সহজেই কর্মের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। আমি যদি বহির্বিশ্বের দিকে তাকায় তাহলে বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলোয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

সুতরাং এ থেকে আমরা বুঝতে পারি শুধু টেকনোলজি থাকলে হবেনা এর ব্যবহারকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শেখানোর জন্য আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরকার। আমাদের দেশে কর্মীরা স্কিলফুল হয়ে উঠবে। 

আমরা এমন ধরনের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করতে পারি যেগুলো আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করবে। এটা আমাদেরকে আর্থিকভাবে উন্নতির সাথে সাথে সমগ্র জাতিকে উন্নতির সাহায্য করবে। 

ইন্টারটেনমেন্ট ও রিক্রিয়েশনঃ
 
মানুষ শিক্ষা ও কাজের পাশাপাশি একটু বিনোদন চায়। মানুষের অন্যতম যাদের মধ্যে একটি হলো বিনোদন। বিশেষ করে আমরা যারা শহরকেন্দ্রিক মানুষ আছি তারা একটু ছুটি পেলে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের দিকে ঝুঁকি। আপনি দেখতে পাবেন বেশিরভাগ বড় বড় গ্রুপ এন্ড কোম্পানি গুলো এখন বিনোদন কেন্দ্রগুলো নিয়ে কাজ করছে।

উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি মুভিজ, স্পেশল এভেন্টস, অ্যানিমেশন এ ধরনের নেতৃত্বে অনেক বড় বড় কোম্পানি কাজ করছেন। কোথায় নয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে আমরা ইউটিউব,নেটফ্লিক্স উপরে এখন কতটা নির্ভরশীল। শুধু তাই নয় এটা আমাদের বিনোদনের পাশাপাশি আমাদের অনেকের জীবিকার মাধ্যম থেকে দাঁড়িয়েছে। 

সুতরাং মানুষ এখন বিনোদন চায় এবং আমরা যদি মানুষের বিনোদনের জনসেবা গুলো লাগে সেগুলো নিয়ে যদি কাজ শুরু করি সেটা আমাদের একটা বড় ব্যবসার মতো হয়ে দাঁড়াবে এবং আমরা খুব সহজেই আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। 

ট্রান্সপোর্টেশনঃ 
 
আমরা মানুষেরা স্বভাবতই ঘুরতে পছন্দ করি এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য আমরা ট্রান্সপোর্টেশন এর উপরে নির্ভরশীল। আমরা অনেকেই বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকিটের ব্যবসা করতে পারি যা, অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।

তাছাড়া আমরা বিভিন্ন শিপিং কম্পানি নিয়ে কাজ করতে পারি। আমাদের দেশের একটি কোম্পানি ট্রানস্পর্টেশন কম্পানি পাঠাও আজকে কত টা সফল। আমরা বিভিন্ন ধরনের কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতে পারি কারণ আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত তাদের মালামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। এখন আমরা অফলাইন ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না আমাদের বিভিন্ন অনলাইন সবগুলো সাইট গুলো নিয়মিত ডেলিভারি সার্ভিস নিয়ে থাকে। যে সেবাগুলো প্রদানের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই আর্থিকভাবে বড় কোম্পানি গড়ে তুলতে পারি। 



 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ঢাকা ক্লিক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url